এটাই হলো পুতিনের ক্ষমতা!

তখনও গ্যালারি জুড়ে চলছে তুমুল হর্ষধ্বনি। বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে আছে ফ্রান্স সমর্থকরা। এ সময় হঠাৎ করেই মস্কোর আকাশ যেন ফুটো হয়ে গেল! লুঝনিকি স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে অঝোর ধারায় নেমে আসতে লাগল বৃষ্টির পানি। মাঠের একপাশে অবশ্য তখন চলছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

আয়োজক কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও মঞ্চে সে সময় উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্র্যাবার কিটারোভিচ ও ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বেরসিক বৃষ্টিতে পুতিন ছাড়া ভিজে যান আর সবাই।

পুতিন কেন ভিজলেন না? কারণ তার মাথায় তখন ধরা ছিল বিশাল এক ছাতা। আবহাওয়া যেকোনো সময়ই বিরূপ হতে পারে, সেটা অনুমান করেই যেন প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে এসেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। অবশ্য পুতিন না ভিজলেও বাকি তিন দেশের প্রেসিডেন্ট ভিজে গেছেন।

পুতিনের মাথায় ছাতা আর বাকি দেশের প্রেসিডেন্টরা ভিজছেন–এমন কিছু ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছবিগুলো নিয়ে শুরু হয় তুমুল হাস্যরস। অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘এটাই হলো, পুতিনের ক্ষমতা! যেখানে আর সবাই ভিজলেও তিনি ভিজেননি।

জোরা হাউজার নামের এক ফুটবল সমর্থক লিখেছেন, ‘রাশিয়ায় স্বাগতম, যেখানে কেবল পুতিনের মাথায়ই ছাতা থাকে।’

আবার জেমি লি নামের আরেক সমর্থক লিখেছেন, ‘পুতিন ঠিকই ছাতা পেয়েছে। তবে ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরী প্রেসিডেন্ট এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ভিজে জবজবে হয়ে গেছে।’